Ways to do better in less time - কম সময় পড়ে অনেক ভালো করার উপায়

কম সময় পড়ে অনেক ভালো করার উপায় - Effective learning method :


আজকে আমি একটা ব্যতিক্রমী জিনিস তোমাদের সাথে শেয়ার করতে আসছি।  জিনিসটা হলো যে - তোমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, তুমি দিনে কয় ঘন্টা পড়াশোনা করো বা দিনে তুমি কিভাবে তোমার পড়াটাকে ম্যানেজ করো? 

এই প্রশ্নের উত্তর একটা স্টুডেন্ট এর কাছ থেকে কিন্তু এক একরকম পাওয়া যাবে এবং কেউ ভুল নয় । কারণ যারা সফল হয়েছে অবশ্যই সফলতার যে রাস্তা ওই রাস্তায় অনুসরণ করে কিন্তু সফল হয়েছে ।  

কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, কয় ঘন্টা পড়া উচিত? এ প্রশ্নের উত্তর  দেওয়া খুব মুশকিল । কেন মুশকিল?
আমি একটু বলি তোমাকে - কারণ দেখা যায় যে অনেক স্টুডেন্ট  একটা প্রশ্ন কে বিচক্ষণতার সাথে খুব কম সময় এর মধ্যে সমাধান করে ফেলে । সৃষ্টিকর্তা তাদের খুব অল্প সময়ে প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা দিয়েছে মস্তিস্কে, আমাদের অনেকের মধ্যে হয়তো সেটা নেই। এটা আসলে ছোটবেলা থেকে একেকজন একেক ভাবে বড়ো  হয়। 
কিন্তু আমরা যেটা করতে পারি তা হলো একটা জিনিসের উপর কন্সেন্ট্রেশন বা মনোনিবেশ তাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি ।

তুমি দেখবা যে তোমার কিছু বন্ধু আছে যে কম পড়ে ফাটিয়ে দিচ্ছে আবার কেউ আছে দিনভর পড়ে কিন্তু কিছু করতে পারে না ।
দেখা যাচ্ছে  অনেক স্টুডেন্ট আছে যে  অনেক সুন্দরভাবে রুটিন করে গুছিয়ে চমৎকারভাবে পড়তেছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব একটা বেশি ফলাফল পাচ্ছেনা । মূল কারণ হচ্ছে এই পড়ার কার্যকারিতা  অনেক ক্ষেত্রে কম থাকে ।  

The effectiveness of our reading ( আমাদের পড়ার কার্যকারিতা ):

তুমি অবশ্যই বুঝতে পারছো  পড়ার কার্যকারিতা  মানে  কি? ধরো তুমি ৩ ঘণ্টা  বা ২ ঘণ্টা বই নিয়ে বসে আছো পড়া হয়েছে 15 মিনিট বাকি সময় চলে গেছে মনে করো  ইউটিউব, ফেসবুক বা ঘুমিয়ে বা  কারো সাথে চ্যাটিং করে  । কারণ এখন তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা আমাদের মূল রোগ যে, আমরা ফোন ছাড়া থাকতে পারিনা।   

 তুমি আমার এই লেখাটা পড়ছো ফোনেই পড়ছো।  আমার অধিকার নাই ইউটিউব ফেসবুকে খারাপ বলার । আমি অত্যন্ত তুচ্ছ মানুষ আমার এটা করার বা বলার কোন অধিকার নেই এবং এটা কিন্তু ভুল ইউটিউব ফেসবুকে প্রচুর সুবিধা আছে । আমরা সবাই কিন্তু এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছি । অনলাইন আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করেছেন ।

ধরো  তুমি গাড়ি চালাচ্ছো, ওই মুহূর্তে  তোমার ব্রেইন যদি  কোন দিকে ডাইভার্ট হয়ে যায় তুমি কিন্তু এক্সিডেন্ট করবা।
তার মানে হচ্ছে তুমি যতটুকু সময় বই নিয়ে বসে আছে ওই সময়টা কে  তুমি যদি সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারো ।
সঠিক ভাবে  মানে হচ্ছে, ধরো তুমি বললে যে আমি এক ঘন্টা বই নিয়ে বসে আমার ফোন টোন সব দূরে - আমি কোন দিকে তাকাবো না, আমি এক ঘন্টা সময়ের মধ্যে  ৫০ মিনিট সময় ব্যয় করবো পড়ার জন্য । আর বাকি ১০ মিনিট সময় নষ্ট হয়ে যাবে, আশেপাশে কোন কিছু না থাকলেও । কিছু আজেবাজে চিন্তা কাজ করবে ।  

যেমন ধরো  তুমি বই পড়ছো হঠাৎ করে ক্যাটরিনা কাইফের শিলা কি জাওয়ানি গান বাজছে ব্রেন এর মধ্যে । এটা ঘটতে পারে । কথা হচ্ছে ওই ধরণের ক্ষেত্রে আমরা বাদ দিতে পারি না । কারণ আমরা সিনেমা - নাটক  যা যা  দেখি এগুলো সব সময় আমাদের ব্রেইনের মধ্যে  চলতে থাকে । তুমি যখন নিরিবিলি বসে থাকো তোমার ব্রেন ওই গুলো বাজিয়ে বাজিয়ে তোমাকে শোনায়। 

How to get good results by reading ( কিভাবে পড়লে ভালো ফল পাবো ): 

তার মানে প্রথম যে চর্চা করতে হবে তা হলো - একটানা তিন চার ঘন্টা পড়ার কোন দরকার নেই, এটা আসলে পৃথিবীর কেউ করতে পারে না । তুমি  এক ঘণ্টা করে ব্রেক বা বিরতি নাও ।  

চিন্তা করো তুমি প্রথমে এক ঘন্টা বই নিয়ে বসেছো আশেপাশে কিচ্ছু  নেই ।  তুমি এখন চেষ্টা কর ঐ এক ঘণ্টার মধ্যে ৫০ মিনিট পড়ার জন্য, এবার উঠে ১০ মিনিট তুমি রেস্ট নাও ।  রেস্ট নেওয়া মানে কিন্তু আমি এইটা বুজাচ্ছি না যে তুমি ফোন টিপতে শুরু করলে বা ভিডিও দেখতে শুরু করলে। তাহলে তোমার রেস্ট হবে না , ব্রেন তো তোমার অন্য দিকে চলে যাবে। তুমি যে পড়ে আসছিলে সব কিন্তু হারায় যাবে।   

তারমানে তুমি  ১ ঘন্টার মধ্যে  ৪৫ মিনিট বা ৫০  মিনিট পর, ১০ মিনিট জাস্ট এমনি ঘুমায় থাকো বা চোখ বন্ধ করে থাকো বা বিছানায় পরে থাকো কোনো সমস্যা নেই  । 
১৫ মিনিট পর উঠো উঠে তুমি আবার সেইম কাজ টা করো।  এভাবে তুমি মনে করো ৩ ঘন্টার বা ৪ ঘন্টার  একটা প্ল্যান বা ফ্রেম রেডি করেছো - যে আমি সন্ধ্যা ৭ টা থেকে পড়তে বসছি আমি ভাত খাবো ১০:৩০ এর সময় , তাহলে আমি ৭ থেকে ১০ তা পর্যন্ত পড়বো। তো ৭ টা থেকে ১০ পর্যন্ত তুমি টানা এভাবে পড়ো। 

কিছুক্ষণ পড়াশোনা শেষ - পড়ার পর তুমি এবার   তুমি ভিডিও দেখো, ইউটিউব দেখো, ফেসবুক দেখো, তুমি যা ইচ্ছা তা করো।  তুমি একটা সময় করো যে আমি  দুই ঘন্টা বা তিন ঘন্টা দেখব । এবার তুমি আবার  পড়াশোনা করতে শুরু করলে।  

তার মানে হল আমি বলতে চাইছি যে, পড়াশোনার মধ্যে তুমি অন্য কোন দিকে ব্রেনকে এনগেজড বা জড়িত করো না।  তাহলে  পড়াশোনার  এফিকেসি বা কার্যকারিতা, তুমি যদি সহজ করে এটা  শিখতে চাও  এফিশিয়েন্সি বা দক্ষতা অনেক কমে যাবে ।  

যদি তুমি এই কাজটা করতে পারো - এটা আমাদের ছোটবেলাতে  টিচার রা বলতো বার বার বলতো ।  আমরা  ফলো করে দেখছি যে এটাতে ফলাফল খুব ভালো পাওয়া যায়।  

পড়াশোনা করার সময় Lots of discussion বা প্রচুর আলোচনা এবং Lots of people's group study বা অনেক লোকের গ্রুপ স্টাডি  আসলে তোমার টাইম এর পরিমাণ টাকে শুধু শুধু দীর্ঘ করে ফেলবে এবং তোমার পড়ার টাইম টাকে ক্ষীণ করে ফেলবে।  

এজন্য তুমি যতটুকু সময় বই নিয়ে বসছো চেষ্টা করো ওই টাইমটা শুধুমাত্র পড়তে । অন্য কোন দিকে ব্রেইকে ডাইভার্ট  বা জড়িত করার দরকার নেই । 
তাহলে কি হবে জানো ? দিনে ১৮ ঘন্টা ২০ ঘন্টা পড়ার দরকার হবে না। দিনে  ছয়-সাত ঘণ্টা পড়েই অনেক ভালো  কিছু করে ফেলতে পারবা । 

তুমি নিশ্চিত থাকো যে স্টুডেন্ট দিনভর পড়ে কিন্তু কিছু করতে পারে না তার মানে হচ্ছে ওর পড়াটা হচ্ছেই না।  ও মনে করো বসে আছে ১০ ঘন্টা আর পড়া হইছে ১ ঘন্টা। 

তাহলে আজকের টপিক বা আজকে যে সাজেশনটা তোমাদের প্রতি থাকবে তা হলো:  

যতটুকু সময় তুমি বই নিয়ে বসেছো তুমি রুটিন করে পড়ো বা রুটিন ছাড়া পড়ো এটা  সম্পূর্ণ তোমার ব্যক্তিগত অভিমত, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত । কারন ওইটা এক একজনের এক এক রকমের।

আমার  অভিমত হলোঃ  টাইম কে নষ্ট করবা না পড়ার সময় । তুমি যা করবা  ১০০% মন দিয়ে করবা ।

তুমি যখন  ইউটিউবে ভিডিও দেখছো ১০০% মনোযোগ সহকারে ভিডিও দেখো, কোনো সমস্যা নেই  । মনে কর তুমি প্রেম করতে গেছো  ১০০% মনোযোগ সহকারে  ঐটা করো । তুমি মনে করো ঘুমাইছো ১০০% মন দিয়ে ঘুমাও। তুমি ঘুমাতে যেয়ে যদি দিনভর ফোন টিপ তাহলে তো তোমার ঘুমটাও পূর্ণ হবে না।  পড়তে বসছো ১০০% মন দিয়ে পড়ো। মোট কথা তুমি যা করছো ১০০% মনোযোগ সহকারে করো। 

হয়তো প্রথম প্রথম তুমি মনোযোগ সম্পূর্ণ দিতে পারবা  না, প্রথমে ৩০% তারপর ৬০% তারপর ৭০% তারপর ১০০% . এভাবে বাড়াতে হবে।  তাহলে দেখবা তুমি সুন্দরভাবে তোমার টাইম এর মধ্যে পড়াটা করতে পারবা।  

এখন মোটামুটি ৯৯% স্টুডেন্টদের রোগে একটা।  এই রোগের চিকিৎসা কি সেটা বলে দিলাম, এটা যদি তুমি  ফলো করো তোমার এই রোগ  ঠিক হয়ে যাবে । ঠিক আছে ভালো থেকো খোদা হাফেজ.

You have to wait 10 seconds.

Generating NEXT Link...
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post