কম সময় পড়ে অনেক ভালো করার উপায় - Effective learning method :
আজকে আমি একটা ব্যতিক্রমী জিনিস তোমাদের সাথে শেয়ার করতে আসছি। জিনিসটা হলো যে - তোমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, তুমি দিনে কয় ঘন্টা পড়াশোনা করো বা দিনে তুমি কিভাবে তোমার পড়াটাকে ম্যানেজ করো?
এই প্রশ্নের উত্তর একটা স্টুডেন্ট এর কাছ থেকে কিন্তু এক একরকম পাওয়া যাবে এবং কেউ ভুল নয় । কারণ যারা সফল হয়েছে অবশ্যই সফলতার যে রাস্তা ওই রাস্তায় অনুসরণ করে কিন্তু সফল হয়েছে ।
The effectiveness of our reading ( আমাদের পড়ার কার্যকারিতা ):
তুমি অবশ্যই বুঝতে পারছো পড়ার কার্যকারিতা মানে কি? ধরো তুমি ৩ ঘণ্টা বা ২ ঘণ্টা বই নিয়ে বসে আছো পড়া হয়েছে 15 মিনিট বাকি সময় চলে গেছে মনে করো ইউটিউব, ফেসবুক বা ঘুমিয়ে বা কারো সাথে চ্যাটিং করে । কারণ এখন তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা আমাদের মূল রোগ যে, আমরা ফোন ছাড়া থাকতে পারিনা।
তুমি আমার এই লেখাটা পড়ছো ফোনেই পড়ছো। আমার অধিকার নাই ইউটিউব ফেসবুকে খারাপ বলার । আমি অত্যন্ত তুচ্ছ মানুষ আমার এটা করার বা বলার কোন অধিকার নেই এবং এটা কিন্তু ভুল ইউটিউব ফেসবুকে প্রচুর সুবিধা আছে । আমরা সবাই কিন্তু এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছি । অনলাইন আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করেছেন ।
যেমন ধরো তুমি বই পড়ছো হঠাৎ করে ক্যাটরিনা কাইফের শিলা কি জাওয়ানি গান বাজছে ব্রেন এর মধ্যে । এটা ঘটতে পারে । কথা হচ্ছে ওই ধরণের ক্ষেত্রে আমরা বাদ দিতে পারি না । কারণ আমরা সিনেমা - নাটক যা যা দেখি এগুলো সব সময় আমাদের ব্রেইনের মধ্যে চলতে থাকে । তুমি যখন নিরিবিলি বসে থাকো তোমার ব্রেন ওই গুলো বাজিয়ে বাজিয়ে তোমাকে শোনায়।
How to get good results by reading ( কিভাবে পড়লে ভালো ফল পাবো ):
তার মানে প্রথম যে চর্চা করতে হবে তা হলো - একটানা তিন চার ঘন্টা পড়ার কোন দরকার নেই, এটা আসলে পৃথিবীর কেউ করতে পারে না । তুমি এক ঘণ্টা করে ব্রেক বা বিরতি নাও ।
চিন্তা করো তুমি প্রথমে এক ঘন্টা বই নিয়ে বসেছো আশেপাশে কিচ্ছু নেই । তুমি এখন চেষ্টা কর ঐ এক ঘণ্টার মধ্যে ৫০ মিনিট পড়ার জন্য, এবার উঠে ১০ মিনিট তুমি রেস্ট নাও । রেস্ট নেওয়া মানে কিন্তু আমি এইটা বুজাচ্ছি না যে তুমি ফোন টিপতে শুরু করলে বা ভিডিও দেখতে শুরু করলে। তাহলে তোমার রেস্ট হবে না , ব্রেন তো তোমার অন্য দিকে চলে যাবে। তুমি যে পড়ে আসছিলে সব কিন্তু হারায় যাবে।
কিছুক্ষণ পড়াশোনা শেষ - পড়ার পর তুমি এবার তুমি ভিডিও দেখো, ইউটিউব দেখো, ফেসবুক দেখো, তুমি যা ইচ্ছা তা করো। তুমি একটা সময় করো যে আমি দুই ঘন্টা বা তিন ঘন্টা দেখব । এবার তুমি আবার পড়াশোনা করতে শুরু করলে।
তার মানে হল আমি বলতে চাইছি যে, পড়াশোনার মধ্যে তুমি অন্য কোন দিকে ব্রেনকে এনগেজড বা জড়িত করো না। তাহলে পড়াশোনার এফিকেসি বা কার্যকারিতা, তুমি যদি সহজ করে এটা শিখতে চাও এফিশিয়েন্সি বা দক্ষতা অনেক কমে যাবে ।
যদি তুমি এই কাজটা করতে পারো - এটা আমাদের ছোটবেলাতে টিচার রা বলতো বার বার বলতো । আমরা ফলো করে দেখছি যে এটাতে ফলাফল খুব ভালো পাওয়া যায়।
পড়াশোনা করার সময় Lots of discussion বা প্রচুর আলোচনা এবং Lots of people's group study বা অনেক লোকের গ্রুপ স্টাডি আসলে তোমার টাইম এর পরিমাণ টাকে শুধু শুধু দীর্ঘ করে ফেলবে এবং তোমার পড়ার টাইম টাকে ক্ষীণ করে ফেলবে।
তুমি নিশ্চিত থাকো যে স্টুডেন্ট দিনভর পড়ে কিন্তু কিছু করতে পারে না তার মানে হচ্ছে ওর পড়াটা হচ্ছেই না। ও মনে করো বসে আছে ১০ ঘন্টা আর পড়া হইছে ১ ঘন্টা।
তাহলে আজকের টপিক বা আজকে যে সাজেশনটা তোমাদের প্রতি থাকবে তা হলো:
আমার অভিমত হলোঃ টাইম কে নষ্ট করবা না পড়ার সময় । তুমি যা করবা ১০০% মন দিয়ে করবা ।
তুমি যখন ইউটিউবে ভিডিও দেখছো ১০০% মনোযোগ সহকারে ভিডিও দেখো, কোনো সমস্যা নেই । মনে কর তুমি প্রেম করতে গেছো ১০০% মনোযোগ সহকারে ঐটা করো । তুমি মনে করো ঘুমাইছো ১০০% মন দিয়ে ঘুমাও। তুমি ঘুমাতে যেয়ে যদি দিনভর ফোন টিপ তাহলে তো তোমার ঘুমটাও পূর্ণ হবে না। পড়তে বসছো ১০০% মন দিয়ে পড়ো। মোট কথা তুমি যা করছো ১০০% মনোযোগ সহকারে করো।
হয়তো প্রথম প্রথম তুমি মনোযোগ সম্পূর্ণ দিতে পারবা না, প্রথমে ৩০% তারপর ৬০% তারপর ৭০% তারপর ১০০% . এভাবে বাড়াতে হবে। তাহলে দেখবা তুমি সুন্দরভাবে তোমার টাইম এর মধ্যে পড়াটা করতে পারবা।
এখন মোটামুটি ৯৯% স্টুডেন্টদের রোগে একটা। এই রোগের চিকিৎসা কি সেটা বলে দিলাম, এটা যদি তুমি ফলো করো তোমার এই রোগ ঠিক হয়ে যাবে । ঠিক আছে ভালো থেকো খোদা হাফেজ.
