৬টি জটিল প্যারাডক্স যার উত্তর কেউ জানেনা। মাথা খারাপ করে দেওয়া প্যারাডক্স

এই প্যারাডক্স বিজ্ঞানীদের রাতে জেগে থাকতে বাধ্য করে, প্যারাডক্স যার কোনো সমাধান নেই।

৬টি জটিল প্যারাডক্স যার উত্তর কেউ জানেনা। মাথা খারাপ করে দেওয়া প্যারাডক্স

৬টি জটিল প্যারাডক্স

এই পৃথিবীতে অবস্থিত সকল জীবের মধ্যে থেকে মানব মস্তিষ্ক হল সবথেকে স্মার্ট। কিন্তু কিছু কিছু জিনিস এমনও রয়েছে যা মানব কল্পনার বাইরে। এই জিনিসগুলোকে বুঝতে গেলে আমরা নিজেরাই কনফিউজ হয়ে যাই।  আর এরই মধ্যে থেকে একটি জিনিস হল প্যারাডক্স বা আপাতবিরোধী।  আমরা সত্যতাকে এক আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি দাঁড়া দেখি। কিন্তু যদি আমরা সেগুলিকে প্যারাডক্সের প্রস্পেক্টিভ দাঁরা দেখি তো সেই রিয়ালিটি কাজই করেনা বা এক্সজিস্টই করেনা। সায়েন্স, ফিলোসফি এবং সাইকোলজির ফিল্ডে প্যারাডক্স একটি কমন ওয়ার্ল্ড।  আজকের এই লেখাটি সাইন্স লাভারদের জন্য বেশ ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে কারণ আজ আমরা এমনই ৬ টি প্যারাডক্সের ব্যাপারে জানতে চলেছি যা বিজ্ঞান, দর্শন এবং মনোবিজ্ঞানীদের রাতের ঘুম কে কেড়ে রেখেছে। 

 ৬. The Bootstrap Paradox:  

এটি একটি টাইম ট্রাভেল প্যারাডক্স। আর এটি সত্যিই মাথা খারাপ করে দেওয়ার মত একটি প্যারাডক্স। কারণ এখানে টাইম মানে সময় একটি লুপে চলতে থাকে। আর সময়ের টাইমলাইনে কোন ঘটনা আগে ঘটেছে এবং কোন ঘটনা পরে ঘটেছে তা বলতে ও বুঝতে পারা অসম্ভব হয়ে যায়। 

উদাহরণঃ মনে করুন আজ  আপনি একটি টাইম মেশিন বানালেন। আপনি ভাবলেন যে টাইম মেশিনের সাহায্যে অতীতে গিয়ে আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে দেখা করে আসি।  আপনি টাইম মেশিন টিকে অন করলেন  এবং টাইম ট্রাভেল করে অতীতে অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের সময় চলে গেলেন। আপনি সেখানে আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে দেখা করলেন। আইনস্টাইন আপনাকে জিজ্ঞাসা করলো, যে তুমি ভবিষ্যতে অতীতে কিভাবে এলে। তখন আপনি আইনস্টাইনকে বললেন, যে আপনি একটি টাইম মেশিন আবিষ্কার করেছেন আর সেই টাইম মেশিনের সাহায্যে অতীতে এসেছেন। এবার আলবার্ট আইনস্টাইন আপনার কাছে টাইম মেশিন বানানোর টেকনিকটা  জিজ্ঞেস করল।  আইনস্টাইন বললো,  আমাকে বলতো তুমি কি ভাবে এটা বানালে। আপনি আনন্দের সাথে আইনস্টাইনকে টাইম মেশিন বানানোর টেকনিক শিখিয়ে দিলেন। সেই টেকনিক ইউজ করে আইনস্টাইন একটি টাইম মেশিন বানিয়ে নিল।  এবার আপনি অতিত থেকে আবার বর্তমানে ফিরে এলেন। কিন্তু যখন আপনি বর্তমানে এলেন তখন জানতে পারলেন যে ভবিষ্যৎ থেকে কেউ গিয়ে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কে টাইম মেশিন বানানো শিখিয়ে দিয়েছিল এবং আইনস্টাইন অনেক আগেই টাইম মেশিন বানিয়ে নিয়েছে। এবার প্রশ্ন হল এই, যে টাইম মেশিন আবিষ্কার কখন হয়েছে? আপনার সময় আপনার দ্বারা নাকি আইনস্টাইনের সময় আইনস্টাইন দ্বারা। এবার আপনি হয়তো বলবেন, যে টাইম মেশিন কে তো প্রথমে আমি বানিয়ে ছিলাম তারপর সেই টেকনিক অতীতে গিয়ে  আইনস্টাইন কে বলেছিলেন। তাইনা? 

কিন্তু প্রশ্ন হল এই, অ্যালবার্ট আইনস্টাইন যে কিনা বর্তমানে বেঁচে নেই সে তো আপনার জন্ম হওয়ার আগেই টাইম মেশিন বানিয়েছিল যদি টাইমলাইনের হিসেবে দেখা হয় তো আইনস্টাইনের দ্বারা বানানো টাইম মেশিন টি সবথেকে প্রথমে তৈরি হয়েছে। কারণ তার যুগের পরে তো আপনার যুগ এসেছে। সেই হিসেবে তো আপনি আগে টাইম মেশিন বানাননি।  এটিকেই বলা হয় বুস্ট্রাপ প্যারাডক্স। যেখানে কোন ঘটনাটি আগে ঘটেছে এবং কোন ঘটনাটি পরে ঘটেছে তা বলতে পারা অসম্ভব হয়ে যায়। এক কথায় দুটি ঘটনার কোনো অরিজিন বা মূল থাকেনা।

৫. The Grandfather paradox : 

মনে করুন যে আপনি একটি টাইম মেশিন বানালেন এবং আপনি টাইম ট্রাভেল করে অতীতে সেই সময় চলে গেলেন যখন আপনার ঠাকুর দাদা ছোট বালক ছিল।  আপনি অতীতে গিয়ে আপনার ঠাকুর দাদা কে মেরে ফেললেন। এবার যেহেতু আপনি নিজের ঠাকুর দাদাকে মেরে ফেলেছেন। তার মানে তার বিয়ে হবে না, তার বিয়ে যদি না হয় তাহলে আপনার বাবা জন্ম হবে না, এবার যেহেতু আপনার বাবারই জন্ম হয়নি তাহলে তো তার বিয়ে হওয়ার কোন কথায় উঠে না। এবার যেহেতু আপনার বাবা মার কোন অস্তিত্বই নেই তাহলে আপনি এই পৃথিবীতে এলেন কিভাবে? যে কিনা একটু আগে অতীতে গিয়ে তার ঠাকুর দাদা কে মেরে এলো।  সেই হিসেবে তো আপনার অস্তিত্বই নেই।  এবার যেহেতু আপনার অস্তিত্বই নেই আপনার জন্মই হয়নি তাহলে সেই ব্যক্তিটি কে ছিল যে টাইম মেশিন বানিয়ে ছিল এবং অতীতে  গিয়ে নিজের ঠাকুর দাদাকে বাল্যকালেই মেরে ফেলেছিল? এটিকেই গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স বলা হয়। 

আপনার জন্য আরো ...

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার উপায় 

ইন্টারনেট থেকে আয় করার ১৫ টি সেরা এবং কার্যকরী উপায় 

অফলাইনে আয় করার ৯ টি লাভজনক ও কার্যকরী উপায়

মোবাইল নিয়ে বিরক্ত? সময়কে কাজে লাগানোর ১০টি দারুণ টিপস


 ৪. Fermi Paradox: 

এই প্যারাডক্সটিকে  একজন ফিজিসিস্ট এনরিকো ফার্মি সবথেকে প্রথমে আবিষ্কার করেছিলেন। যিনি কিনা পৃথিবীর প্রথম নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর বানিয়েছিলেন। এনরিকো ফার্মি একটি প্রশ্ন করেছিলেন যে, এলিয়েনরা কোথায় আছে? আমরা তাদের দেখতে পাই না কেন? তিনি তর্কে বললেন যে আমাদের সোলার সিস্টেম 4.57 ওয়ান বিলিয়ন বছর আগে তৈরি হয়েছে। কিন্তু ইউনিভার্সে তো আমাদের সোলার সিস্টেম তৈরি হওয়ারও বিলিয়ন্স বছর আগে আরো বহু সোলার সিস্টেম তৈরি হয়েছে। সেগুলিতেও পৃথিবীর মতোই বহু বাসযোগ্য প্ল্যানেট বা গ্রহ রয়েছে। সেই গ্রহ গুলিতেও বহু ইন্টেলিজেন্স সভ্যতা অনেক আগেই তৈরি হয়েছে। যখন আমাদের সোলার সিস্টেম তৈরিও  হয়নি তখন থেকেই সেই সোলার সিস্টেম গুলির গ্রহ তে হাইলি ইন্টেলিজেন্ট সভ্যতা অ্যাডভান্স হয়ে টাইপ 3 সিভিলাইজেশনের কনভার্টও হয়ে গেছে। তাদের কাছে তো আমাদের সোলার সিস্টেম নতুন তৈরী হওয়া সোলার সিস্টেম মাত্র। তো প্রশ্ন হল যে, সেই এলিয়েন সভ্যতা গুলি গেল কোথায়? আমরা তাদের দেখতে পাই না কেন? আসলে আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতেও এমন কোটি কোটি বাসযোগ্য প্লানেট রয়েছে। সাইন্স আমাদের গ্যালাক্সিতে বাসযোগ্য প্লানেট কে খোঁজার জন্য  দ্যা ড্রেক কুয়েশন এর ব্যবহার করে।  ড্রেক ইকুয়েশনে সাতটি ফ্যাক্টরকে ধ্যানে রেখে প্লানেটকে খোঁজা হয়। আর এই ইকুয়েশনের হিসাবে কেবলমাত্র আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতেই 30 কোটি বসবাসযোগ্য প্লানেটস রয়েছে। এগুলোও দেখতে পৃথিবীর মতোই। এগুলির এটমোস্ফিয়ার প্ল্যানেট এবং ওয়েদার কন্ডিশন পৃথিবীর মতোই। তো এবার প্রশ্ন হল এই, যে এত এত বাসযোগ্য প্ল্যানেট থাকা সত্তেও ইউনিভার্স এত শান্ত কেনো? কেনো মনে হয় যে, কেবলমাত্র অনন্ত ব্রহ্মান্ডে কেবলমাত্র আমরাই একটি নীল গ্রহের মধ্যে আছি।  আর বাকি সব জায়গা স্তব্ধ হয়ে আছে।  কেন আমরা কোন এলিয়েন লাইফ কে খুজে পাচ্ছিনা? এই প্রশ্নের উত্তর এখন না পেলেও হয়তো ভবিষ্যতে যখন আমাদের টেকনোলজি অনেক এডভান্স হবে তখন জানতে পারবো। বা এমনও হতে পারে যে অনেক আগে থেকেই এলিয়েন্স আমাদের পৃথিবীতে আসা-যাওয়া করছে কিন্তু আমরা তা জানতেই পারছি না।  এখানে আমার সুন্দর একটি কোড মনে পড়ছে, আর্থার সি ক্লার্ক এর -

"Two possibilities exist: either we are alone in the universe or we are not. Both are equally terrifying."

অর্থাৎ এখানে দুটি সম্ভাবনা বিদ্যমান: হয় আমরা মহাবিশ্বে একা থাকি অথবা  আমরা একা নই। উভয়ই সমান সম্ভাবনা আছে।

৩. Hitler Paradox: 

হিটলার প্যারাডক্স গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স এরই আরেকটি ভেরিয়েন্ট। মনে করুন আপনি ভাবলেন যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যদি না হতো তাহলে খুব ভালো হতো।  আপনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হতে না দেওয়ার জন্য বর্তমানে অনেক পরিশ্রম করে অনেক কষ্টে সৃষ্টে একটি টাইম মেশিন বানালেন এবং ভাবলেন যে, সময়ে অতীতে গিয়ে আপনি হিটলারকে মেরে ফেলবেন। 

 তো আপনি সময় যন্ত্রের সাহায্যে অতীতে সেই সময়ে গেলেন যখন ওয়াল্ড ওয়ার 2 শুরু হওয়ার মত অবস্থা তৈরি হয়েছিল। তো ওয়াল্ড ওয়ার 2 কে হতে না দেওয়ার জন্য আপনি সেখানে হিটলারকে মেরে ফেললেন। তো হিটলার মারা যাওয়ার কারণে সেই সমস্ত অ্যাকশন গুলো শেষ হয়ে গেল যার কারণে ওয়াল্ড ওয়ার 2 হয়েছিল। আপনি বেশ খুশি হয়ে গেলেন এবং টাইম মেশিনে চেপে আপনার ভবিষ্যতে ফিরে এলেন। এসে জানতে পারলেন যে, ওয়াল্ড ওয়ার 2 তো কোনদিন হয়ইনি। আপনি আরো খুশি হয়ে গেলেন, যাক আমি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কে থামিয়ে দিলাম। কিন্তু প্রশ্ন হল এই, যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়ইনি তাহলে কোনো কারণ ছাড়াই আপনি অতীতে কেন গেলেন? আপনার টাইম মেশিন বানানোর মোটিভ কোথা থেকে এলো? এটিকেই হিটলার প্যারাডক্স বলা হয়।

আপনার জন্য আরো ...

•  মোবাইলে অর্থ উপার্জনের উপায় (নতুন সাইটের তালিকা)

•  যে কারণে মানুষ তোমাকে ঘৃণা করে

•  মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়?

•  মোবাইল দিয়ে অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রতিদিন 500 টাকা আয় করার ওয়েবসাইট  


২. Observers Paradox: 

এই প্যারাডক্সটি কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর একটি অদ্ভুত প্যারাডক্স। এটি কেবল মাত্র একটি থট বা কল্পনার এক্সপেরিমেন্ট। মনে করুন একটি বাক্সের ভেতর একটি বিড়াল আছে।  সে বাক্সটির মধ্যে একটি রেডিও একটিভ মেটেরিয়ালও আছে।  রেডিওঅ্যাকটিভ ম্যাটেরিয়ালসের রিডিংসকে মেজার করার জন্য একটি ডিভাইস রয়েছে এবং সাথে একটি হাতুড়ি ও বিষাক্ত গ্যাসের একটি শিশি রাখা আছে। রেডিও একটিভ ম্যাটারিয়ালটি না ভাঙার সম্ভাবনা ফিফটি পার্সেন্ট রয়েছে আর যদি রেডিওঅ্যাকটিভ রিডিংস মেজার করার ডিভাইসটি কোন রিডিংস পায় তাহলে হাতুড়ি ট্রিগার হয়ে যাবে এবং বিষাক্ত গ্যাসের শিশুটিকে ভেঙে ফেলবে। যার ফলে সেই বিষাক্ত গ্যাসের কারণে বিড়ালটি মারা যাবে। 

এই সম্পূর্ণ ঘটনাটি একটি বাক্সের ভেতর ঘটবে যা বাইরে থেকে বন্ধ রয়েছে। বাক্সের ভিতরে কি ঘটছে তা বক্স না খোলা অব্দি বোঝা যাবে না।  তো এবার আসে প্যারাডক্সটি - যতক্ষণ পর্যন্ত বক্সটি বন্ধ রয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত একই সময়ে বিড়ালের দুটি স্টেপি পসিবল। অর্থাৎ একই সময়ে বেড়ালটি বক্সের ভেতর বেঁচেও আছে আবার মরেও গেছে। এবার আপনি হয়তো বলবেন যে, এটি কীভাবে সম্ভব? দেখুন কোয়ান্টাম ফিজিকস বলে যে, ম্যাটারের আউটকাম কি হবে ততক্ষণ পর্যন্ত জানতে পারা অসম্ভব যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সেটিকে পর্যবেক্ষণ করব না।  সোজা ভাষায় যদি বলি, যদি আপনি আপনার রুমটিতে তালা লাগিয়ে কোথাও ঘুরতে চলে যান তো সেই সময় আপনার রুমটিতে যে জিনিসপত্রগুলি আছে সেগুলো সেখানে আছেও আবার নেইও। হয়ত আপনার দেয়ালের ঘড়িটি জানলা দিয়ে উড়ে কোথাও ঘুড়তে চলে গিয়েছে বা সেখানেই স্থির আছে। অথবা আপনার রুমের টেবিলটি ড্যান্স করছে বা সেই ভাবেই স্থির আছে যেভাবে আপনি রেখে গিয়েছেন। ফিজিক্সে স্টুডেন্টসদের জন্যে এই প্যারাডক্সটি কঠিন হবেনা।

১. The Black Hole Information Paradox: 

এটি সবথেকে কনফিউজিং একটি প্যারাডক্স। এটি কোয়ান্টাম মেকানিক্স এবং জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটির একটি  পাজেল। ক্যালকুলেশনস বলে, ব্ল্যাকহোলের ভেতরে গিয়ে সমস্ত জিনিসই শেষ হয়ে যায়। মানে ব্ল্যাক হোলের ভিতরে গিয়ে কোন জিনিসের ইনফর্মেশন চিরজীবনের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। কিন্তু কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলে, ইনফর্মেশন কোনদিনই নষ্ট বা ধ্বংস হয় না।  

চলুন বিষয়টিকে একটি এক্সাম্পল বা উদাহরণ দ্বারা  বোঝার চেষ্টা করি। মনে করুন আপনি একটি বইয়ের পেজ কে আগুনে পুড়িয়ে দিলেন। এক্ষেত্রে কাগজটি  জ্বলে ছাই হয়ে যাবে। তো আমরা বলতে পারি যে সেই কাগজে লেখা ইনফর্মেশন গুলি শেষ হয়ে গেছে। সেই ইনফরমেশন গুলোকে আমরা আর রিকভার করতে পারব না যা সে কাগজটিতে লেখা ছিল। তাই তো? 

কিন্তু সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব নয়।  কাগজটিকে জ্বালানোর সময় যে ধোঁয়া এবং তাপ নির্গত হচ্ছিলো এবং কাগজটি পুড়ে যাওয়ার পর যে ছাই বেঁচে থাকলো সেই তাপ, ধোয়া এবং ছাই এর মধ্যে সেই ইনফরমেশন এখনো আছে। ব্ল্যাকহোলও ব্রহ্মান্ডের সমস্ত জিনিসকে খেয়ে ফেলে এবং আমরা ভাবি যে যে জিনিসকে ব্ল্যাকহোল গ্রাস করে নিল তার ইনফর্মেশন ও বোধহয় শেষ হয়ে গেল। কিন্তু এমনটি নয়। হকিং রেডিয়েশনের আকারে ব্ল্যাক অপারেট হতে থাকে। আর নিজের মধ্যে গ্রাস করা ইনফর্মেশন কে রিলিজ করতে থাকে। এই থিওরিটি একটু অদ্ভুত বটে। কিন্তু কি করবেন বলুন কোয়ান্টাম মেকানিক্সই  এইরকম। 



এই ছয়টি প্যারাডক্সের মধ্য থেকে আপনা কাছে কোন প্যারাডক্সটি সবথেকে বেশি ইন্টারেস্টিং বলে মনে হয়েছে তা কমেন্ট বক্সে আমাকে অবশ্যই জানাবেন? লেখাটি ভাল লেগে থাকলে লাইক এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু। আপনাদের সঙ্গে আবার দেখা হবে ধন্যবাদ।

Our YOUTUBE Chanel: https://www.youtube.com/channel/

Our Facebook Page: https://www.facebook.com/arohi5792

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post