সুন্দর হাতের লেখা না হলে তোমার কি কি ক্ষতি হবে
অনেক গুলো গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের যে হাতের লেখা এই হাতের লেখা প্রায় ৮০% জেনেটিক। মানে বাবা এবং মায়ের হাতের লেখা যেমন থাকে সন্তানের হাতের লেখা প্রায় সেই রকমই হয়ে যায়। বাকি ২০% থাকে নিজের চেষ্টা। মনে করো তুমি যখন ক্লাস ১/২/৪/৫ এ পড়েছো তোমার হাতের লেখা যেমন এ হোক না কেন আস্তে আস্তে হাতের লেখা পরিপক্ক(Mature) হতে থাকে।  
মেডিকেল সাইন্সে একটা খুব মজার কথা আছেঃ
মেডিকেলে এত পরিমান Lecture তুলতে হয় যে - যার হাতের লেখা ভালো ও মেডিকেল পাশ করার পর ও নিজে কি লিখছে নিজেই বুঝতে পারে না।  অনেকে অনেক ক্ষেত্রে এ কথাটা মজা করে বলে।
এখন প্রশ্ন হোচ্ছে হাতের লেখা যদি খারাপ হয় আমরা জীবনে কি কি ধরণের সমস্যায় পড়ি বা আসলেই আমরা কোনো সমস্যায় পড়ি কিনা?
একটা সময় ছিল আজ থেকে অনেক বছর আগে যখন বিভিন্ন স্কুলে, মনে করো যারা ক্লার্ক ছিল তারা স্কুল এর হিসাব-নিকাশ বলো বা সবকিছু হাতে লিখে ম্যানুয়ালি হিসাব-নিকাশ রাখতো সেখানে হাতের লেখার অগ্রাধিকার থাকতো অনেক বেশি।
কিন্তু এখনকার সময় টা  এমন হয়েছে আমরা এখন হাতে লিখি অনেক কম। আমরা অনেকে  আছি কবে হাতে লিখেছি মনেই নেই। এখন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা ফোনের টেক্সট এডিটর এতটা পাওয়ারফুল তুমি যা চাও সেইটা কিন্তু লিখে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করতে পারো। তোমার হাতের লেখা কেমন আছে এখনকার সময়ে এটা এতবেশি বিষয় না।  
কিন্তু হ্যা তাইবলে তোমার হাতের লেখা যেন চ্যাগার ঠ্যাং বগার ঠ্যাং না হয়। গ্রাম এর খুব একটা প্রচলিত শব্দ আছে। বলতো যে তেলাপোকার পায়ে কালি লাগিয়ে ছেড়ে দিছে তেলাপোকা হাটছে লেখা হয়ে গেছে।  এমন যেন না হয়।
মানে তুমি যা কিছু লিখছো এটা যেন সোজা থাকে এবং বোঝা যায়।  অক্ষর যেন মোটামুটি বোঝা যায় কোনটা ক লিখছোষ কোনটা  b লিখছো, কোনটা ৫ লিখছো, এটা  যেন বোঝা যায়।
হাতের লেখা যাদের খারাপ তাদের মূল সমস্যাঃ
আর হাতের লেখা যাদের খারাপ হয়, একদম খারাপ হয়, মন খারাপ করার কিছু নেই।  কারণ তুমি যখন চাকরি জীবনে যাবে বা বাস্তব জীবনে কাজ করতে যাবে তখন হাতের লেখার গুরুত্ব অত বেশি না।  হয়তো বা ঘরোয়া কোনো বৈঠকে বা বন্ধু মহলে লোক তোমাকে পচাতে পারে। বলতে পারে এই তোর হাতের লেখাটা ভালো না।  এই তুই কি লিখছিস বোঝাই যায় না তুই কি নিজে বুজিস।  এ গুলো শুধু মাত্র মজার জন্যে। But this is nothing serious about that . এই বিষয় গুরুতর কিছু না। Because most of the documents are printed. তবে এখন ও কিছু কাজ আছে যেখানে হাতের লেখার অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়।  কিন্তু তার পরিমান খুব এ সামান্য। হয়তো বা তার পরিমান ২-৫% । 
তোমাদের এখনো সুযোগ আছে যদি হাতের লেখাকে ইম্প্রোভ বা উন্নতি করতে চাও কোনো কোর্স এ ভর্তির দরকার নেই। অনেক সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখবেন অনেক জায়গায় হাতের লেখার কোর্স করানো হয়।  অনলাইন এ হাতের লেখার কোর্স শেখায়। আসলে আমি জানিনা এগুলাতে কতটুকু উপকার পাওয়া যায়।  তুমি যদি চাও হাতের লেখা কে সোজা করা অক্ষর গুলো সুন্দর করা তোমার এখনো সুযোগ আছে করতে পারো। 
কিন্তু যাই হোক চেষ্টা করো লেখাটা যেন বোঝা যায়।  তুমি কি লিখেছো এটা যেন বোধগম্য হয়।  
আমার মনের মধ্যে এখনো একটা প্রশ্ন আছেঃ
ধরো আমরা যখন কোনো ডাক্তার এর পেসক্রিপশন নিই, এত পরিমান পেঁচানো কেন থাকে? ডাক্তার এর পেসক্রিপশন আসলে বোঝা যায় না।  এ বিষয় কিন্তু অনেক ডাক্তার মনে করে এটা আসলে আমার একটা ক্রেডিট  যে আমার হাতের লেখা শুধু মাত্র দোকানদার আর আমি ছাড়া কেউ  বোঝেনা। বিষয়টা  আসলে এমন হওয়া উচিত-  তুমি একজন ডাক্তার, তুমি পেসক্রিপশন করছো,সেটা অন্তত গোটা গোটা অক্ষরে লিখ যেন রোগী এবং যে কেউ সহজে বুঝতে পারে, তুমি জিনিস টা কি লিখেছো। তুমি এমন ভাবে লিখলে, কিছু বুঝায় যায় না। ঐটা কিন্তু আবার কাম্য না।
হাতের লেখা নিয়ে আমার মতামতঃ
সুতরাং, যা লিখব সেটা যেন অন্য কেউ বুঝতে পারে।  কিন্তু এত আহামরি সুন্দর হতে হবে, এমন কোনো বাধা- ধরা নিয়ম নেই।  আসা করি তোমার বিভ্রান্তি দূর হয়েছে যে তোমার সফলতার পিছনে হাতের লেখার গুরুত্ব এখন আসলে নেই বললেই চলে।  কিন্তু স্কুল-কলেজের যে পরীক্ষা আছে পরীক্ষক যেন তোমার হাতের লেখা বুঝতে পারে এ বিষয় টা  তোমার মাথায় রাখতে হবে। 
Generating NEXT Link...
